ডিজিটাল মার্কেটার কে আর বেকার থাকতে হবেনা।
আসসালামু আলাইকুম,
কিছুদিন আগে একটা পোষ্টে লিখেছিলাম “ডিজিটাল মার্কেটার অথচ বেকার? এটা কিভাবে সম্ভব?”
আসলে একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর বেকার থাকার কথা না, যদি থাকে তাহলে সে মার্কেটার না, সে হয়ত কিছু টুলস এর কাজ জানে কিন্তু মার্কেটার না। সে যদি মার্কেটিং করে নিজের সার্ভিস টাই সেল করতে না পারে তাহলে ক্লায়েন্ট এর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কিভাবে সেল করবে?
আজকের আর্টিকেল মূলত তাদের জন্য যারা নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন কিন্তু এখনো কোন কাজ করতে পারেন নাই। এই আর্টিকেল টা তারাও পরতে পারেন যারা ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে আর্ন করতে চান কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বা কোন কাজ শিখে দ্রুত কাজ পাবেন তার সঠিক গাইডলাইন খুজছেন।
এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করবো কিভাবে মাত্র ৩০ দিনে আপনার নিজের একটা ফেসবুক মার্কেটিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন এবং আস্তে আস্তে এই বিজনেস টাকে একটা এজেন্সিতে রুপ দিতে পারবেন।
যেহেতু এটি একটি পুর্নাংগ গাইডলাইন হতে যাচ্ছে, তাই এটি হবে একটু লম্বা চওড়া, থিউরিটিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল। তাই একটি পোষ্টে পুরোটা লিখতে গেলে তা আর পরার উপযোগি থাকবেনা। বিষয়টাকে সহজ ও কার্যকরি করার জন্য এটিকে একটি সিরিজ আকারে প্ল্যান করেছি যা কিনা ৬ টি পর্বে প্রকাশিত হবে।
পর্ব ১ – পুরো পরিকল্পনার একটা রোডম্যাপ
প্রথম পর্ব এটাই, আজকে আলোচনা করবো সিরিজটা কেমন হবে, কোন পর্বে কি কি থাকবে ও পুরো জার্নিটা কেমন হবে।
পর্ব ২ – বিজনেস মডেল এবং ৪ সপ্তাতের পরিকল্পনা
দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করবো মূল বিজনেস মডেল নিয়ে, আমরা কি করবো? কাদের জন্য করবো? আমাদের টার্গেটেড ক্লায়েন্ট কারা? তাদের কোন সমস্যার সমাধান করবো? কিভাবে করবো? আমাদের কি কি প্রয়োজন এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের জার্নিটা কেমন হবে তার একটা রোডম্যাপ।
পর্ব ৩ – স্কিল ডেভেলপমেন্ট টাইমলাইন
তৃতীয় পর্বে আমরা আমরা দেখবো এই বিজনেসটা করতে হলে আমাদের কি কি স্কিল থাকতে হবে, কি কি শিখতে হবে? কতটুকু শিখে আমরা দ্রুত শুরু করতে পারবো এবং কিভাবে আস্তে আস্তে স্কিল ডেভেলপমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে পরবর্তিতে বিজনেস টাকে স্কেলআপ করার জন্য। অনেক সময় সঠিক ধারনা না থাকার কারনে আমরা এমন অনেক কিছুতে সময় নষ্ট করি যা এরানো যেত, তাই এই পর্বে আমরা ঐ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিব যা আমাদের জন্য বেশি প্রয়োজন।
পর্ব ৪ – বিজনেস সেট আপ
চতুর্থ পর্বে আমরা বিজনেস সেটাপ করবো, নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, গুগল শিট এবং অন্যান্য যা প্রয়োজনীয় বিষয় প্রস্তুত করবো। এমন একটা সিষ্টেম দার করাবো যেখানে কিভাবে ক্লায়েন্ট আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানবে, কিভাবে তাদের সার্ভিস দিব, কিভাবে ক্লায়েন্ট মেইনটেইন করতে হবে ইত্যাদি।
পর্ব ৫ – টার্গেট অডিয়েন্স সেট আপ, কন্টেন্ট প্ল্যানিং ও মার্কেটিং
এই পর্বে আমরা খুজে বের করবো আমাদের সম্ভ্যাব্য ক্রেতা বা টার্গেট অডিয়েন্স কারা, তাদের পেইন পয়েন্ট গুলো কি কি? কিভাবে আমাদের সার্ভিস তাদের বিজনেস কে গ্রো করতে সাহায্য করবে ও সেল বৃদ্ধি করবে ইত্যাদি। তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমরা কিছু কনটেন্ট তৈরির প্ল্যান করবো এবং তাদের কাছে আমাদের পেইজ ও সার্ভিস কে পৌছানোর জন্য কিছ্র ফ্রি ও পেইড মেথড এর মাধ্যমে একটা মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করবো।
পর্ব ৬ – ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট
পুরো বিজনেস সেট আপ ও মার্কেটিং করার ফলসরুপ আমরা আশা করি ক্লায়েন্ট আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে, সেই প্রসেস টা কেমন হবে, আমাদের প্রাইসিং প্ল্যান কেমন হবে, কিভাবে অর্ডার করবে, তার পেইজের এক্সেস কিভাবে নিবো এবং সর্বোপরি ক্লায়েন্ট কিভাবে ম্যানেজ করবো তার সকল স্টেপ নিয়ে আলোচনা হবে এই ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট পর্বে।
এই ৬ টা বিষয় নিয়ে এই সিরিজ এর আর্টিকেল গুলো থাকবে, আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে এই সব কিছু একটা পোষ্টে লেখা সম্ভব না।
আজ শুধু এই সিরিজ টা সম্পর্কে ধারনা দিলাম, খুব শিঘ্রই পরবর্তি পোষ্টগুলো পাব্লিশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ,
মোঃ মাসুম